নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে ঈশ্বরদীতে
শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষসহ জামায়াতে ইসলামীর ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ আইনে নাশকতা চেষ্টার মামলা দায়ের করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আটককৃতদের বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী নিশ্চিত করেছেন।
আটকৃকতরা হলেন- বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ঈশ্বরদী শাখার কোষাধ্যক্ষ, নারিচা স্কুলের শিক্ষক ইয়াসির আরাফাত সুজন , সাহপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার জামায়াত নেতা মাওলানা ফরিদ আহমেদ, মুলাডুলি ইউনিয়নের ডা. মজিবার রহমান, আল মামুন, পাকশী ইউনিয়নের শাহান আলী, সলিমপুর ইউনিয়নের মজিদ পাঠান, আজিজ পাঠান, আব্দুল বাতেন, দাশুড়িয়া ইউনিয়নের হাফেজ ইমতিয়াজ, গোলাম মোস্তফা ও শামীম আহমেদ।
জামায়াত নেতারা বলছেন, আটককৃতদের অনেকেই জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তারা কেবল মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবী জানাযায় অংশ নিয়েছিলেন।
মামলার তদন্তকারী ঈশ্বরদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার রাতে
আটককৃতরা ঈশ্বরদীর মিরকামারি বিদ্যালয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য, লিফলেটসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
জামায়াত ইসলামের ঈশ্বরদী শাখার আমির মাওলানা গোলাম রব্বানি খান জোবায়ের বলেন, আটককৃতদের অনেকেই জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তারা ঈশ্বরদীর মিরকামারি স্কুলমাঠে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীর গায়েবানা জানাযায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন। মঙ্গলবার ভোররাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।