1. swapanittefaq@gmail.com : dailyvision24.net :
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০২:০৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
ঈশ্বরদীতে বালুমহালে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৭ জন আইসব্রেকারের জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর তৈরি করেছে রসাটম বিমানবাহিনীতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঈশ্বরদীতে প্রতারণা, ৩ প্রতারক গ্রেপ্তার এমিরেটস ও এজিয়ান এয়ারলাইন্সের পার্টনারশিপ ঈশ্বরদীতে ১৫শ’ কৃষক-কৃষাণী পেলেন বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেশে আওয়ামী স্টাইলে কোনো নির্বাচন হবে না: রফিকুল ইসলাম ঈশ্বরদীতে নিন্মআয়ের মানুষের জন্য ‘সুলভ বাজার’ উদ্বোধন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের ষড়যন্ত্র ! প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন পরমাণু শক্তি কমিশনের দাবির সাথে জাবি’র শিক্ষক সমিতির একাত্মতা প্রকাশ বিজ্ঞানী-কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আন্দোলনে অচল পরমাণু শক্তি কমিশন

গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় ঈশ্বরদীর খামারিরা মহাসংকটে

ডেক্স রিপোর্ট:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

একাধিক জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক নূরুন্নাহার বেগম। তাঁর খামারে প্রতিদিন ৭-৮ মণ দুধ হয় এবং গরু মোটাতাজা করণের প্রকল্পও রয়েছে। তিনি বলেন, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামার চালাতে এখন প্রতি মাসে একটি করে গরু বিক্রি করে দোকানের বাকি শোধ করি। খামার চালু রাখতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি এরইমধ্যে বেশ কিছু গরু বিক্রি করেছি। এযাবত আড়াই কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। খামারে আর গরু রাখব না। দেশ অনেক এগিয়ে গেলেও বাজার মনিটরিং যথাযথভাবে হচ্ছে না। কারখানার মালিক ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে কৃষক ও প্রকৃত উৎপাদনকারী এবং ব্যবহারকারী ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। তিনি জানান, গো-খাদ্যের দাম যে হারে বেড়েছে সে হারে দুধের দাম না বাড়ায় পড়েছি মহাসংকটে। এরমধ্যে মিল্কভিটাসহ দুগ্ধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দুধ সংগ্রহ কমিয়ে দেওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে।

খামারিরা জানান, দশ বছরের মধ্যে গো-খাদ্যের দাম ৫-৬ গুণ বেড়ে যাওয়ায় তারা পড়েছেন চরম সংকটে। দশ বছর আগে এক কেজি গমের ছাল ছিল ৮-১০ টাকা। এখন সেই ছালের কেজি ৬০-৬২ টাকা। একমণ খেসারি ভূষির দাম এখন ১ হাজার ৪০০ টাকা। এই ভূষি আগে খামারিরা কিনতেন না। একমণ খড়ের দাম এখন ৫০০ টাকা। খড় আবার ৩০-৩২ কেজিতে মণ ধরা হয়। সে হিসেবে ১ কেজি খড়ের দাম ১৫ টাকা। প্রতি শতাংশ জমির জাম্বু ঘাস কিনতে হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে। প্রতি শতাংশের নেপিয়ার ঘাসের দাম ৪০০ টাকা। গো-খাদ্যের দাম কমানো না হলে কিংবা খামারিদের ভর্তুকি মূল্যে গো-খাদ্য না দিলে তাদের পক্ষে খামার রাখা অসম্ভব হয়ে যাবে।

খামারিরা আরও বলেন, দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোই প্রধান ভরসার জায়গা। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান দুধের সঠিক দাম দিচ্ছে না। দাম কিছুটা বৃদ্ধি করলেও চাহিদা কমে যাওয়ার অজুহাতে এসব প্রতিষ্ঠান খামারিদের কাছ থেকে দুধ কেনা কমিয়ে দিয়েছে। খামারিদের দাবি, গোখাদ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় প্রতি লিটার দুধের উৎপাদন খরচ পড়ে ৭০ টাকার কাছাকাছি। কিন্তু দুধ প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি লিটার দুধের দাম দিচ্ছে প্রায় ৫০ টাকা।

জাতীয় পদকপ্রাপ্ত তন্ময় ডেইরি ফার্মের স্বত্তাধিকারী আমিরুল ইসলামের খামারে ৯৫টি গরু রয়েছে। প্রতিদিন দুধ হয় ৪৫০-৫০০ লিটার। মিল্ক ভিটা ছাড়াও স্থানীয় বাজারে ৭০ টাকা লিটার দরে দুধ বিক্রি করেন। তিনি বলেন, বাজারের কেনা গো-খাদ্যের ওপর নির্ভর করে খামার করলে কোনদিনই লাভ হবে না। ঘাস উৎপাদন এবং ঘাসের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। স্থানীয়ভাবে ৭০ টাকা লিটার দরে দুধ বিক্রি করছি। তাদেরও কিনতে কষ্ট হচ্ছে। আবার ৭০ টাকা লিটারে বিক্রি করেও খরচ পোষাচ্ছে না। আমার দুধ যারা কিনে খাবে, তাদেরও দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকতে হবে। খামার চালাতে হলে ঘাস চাষ করে নিজেকে সহনীয় দামে গো-খাদ্য তৈরী করতে হবে। কারণ বাজার থেকে কেনা গো-খাদ্য সহনীয় হবে না। দুধের দাম কম, গো-খাদ্যের দাম বেশী এই কমন কথার ওপর না থেকে কোন আঙ্গিকে গেলে গো-খাদ্যের দাম কমাতে পারি সে পথ আমাদের অবলম্বন করতে হবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. নাজমুল হোসাইন জানান, ঈশ্বরদীতে তিন হাজার গরুর খামারে ১ লাখ ২ হাজারেরও বেশী গরু রয়েছে। এরমধ্যে গাভির খামার ১ হাজার ৫২টি। গাভির খামারে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার লিটার দুধ হয়। এ হিসেবের বাইরেও আরও খামার ও বিপুল সংখ্যক গরু রয়েছে বলে জানান তিনি। দানাদার খাদ্যের দাম বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, ভর্তুকি দেওয়ার ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে কিছু করার নেই। এটা নীতিনির্ধারকদের বিবেচনার বিষয়। গো-খাদ্যের দাম সমন্বয় করতে বেশী পরিমাণে উন্নত জাতের ঘাস চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
error: Content is protected !!