1. swapanittefaq@gmail.com : dailyvision24.net :
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
ঈশ্বরদীতে বালুমহালে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৭ জন আইসব্রেকারের জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর তৈরি করেছে রসাটম বিমানবাহিনীতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঈশ্বরদীতে প্রতারণা, ৩ প্রতারক গ্রেপ্তার এমিরেটস ও এজিয়ান এয়ারলাইন্সের পার্টনারশিপ ঈশ্বরদীতে ১৫শ’ কৃষক-কৃষাণী পেলেন বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেশে আওয়ামী স্টাইলে কোনো নির্বাচন হবে না: রফিকুল ইসলাম ঈশ্বরদীতে নিন্মআয়ের মানুষের জন্য ‘সুলভ বাজার’ উদ্বোধন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের ষড়যন্ত্র ! প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন পরমাণু শক্তি কমিশনের দাবির সাথে জাবি’র শিক্ষক সমিতির একাত্মতা প্রকাশ বিজ্ঞানী-কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আন্দোলনে অচল পরমাণু শক্তি কমিশন

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকার বালুমহালে প্রশাসনের যৌথ অভিযান

ডেক্স রিপোর্ট:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৫ জুলাই, ২০২৩
  • ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

বিভিন্ন পত্রিকার প্রিন্ট এবং অনলাইনে কেপিআইভূক্ত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকায় অবৈধ বালুমহালের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। বুধবার (৫ জুন) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন এবং কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসন যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের একপ্রান্ত রয়েছে ঈশ্বরদী উপজেলাধীন এবং অপরপ্রান্ত ভেড়ামারা উপজেলার আওতাধীন । যেকারণে উভয় উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ স্থাপনার নিরাপত্তা বিধান এবং কেপিআইয়ের নির্দেশনা বাস্তাবয়নের জন্য মাঠে নেমেছে বলে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে।

অভিযান পরিচালনা করেন ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকাশ কুমার কুন্ডু এবং ঈশ্বরদী সহকারি কমিশনার (ভূমি) টি.এম. রাহসিন কবির। ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ঘাট থেকে শুরু করে পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নদীবন্দর এলাকা পযন্ত এবং ভেড়ামারা প্রান্তে রায়টা হতে অভিযান শুরু করা হয়।

অভিযানের সময় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ১৫ ধারা অনুযায়ী ২জন ড্রেজার মালিককে জরিমানা এবং ড্রেজার মেশিন আটক করা হয়। ভেড়ামারা ফয়েজুল্লাহপুর গ্রামের ইদ্রিস প্রামানিক ছেলে আরিফুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা ও রায়টা গ্রামের বজলু মহলদারের ছেলে রফিকুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক ল টাকা জরিমানা করা হয়।

ঈশ্বরদীর সরকারি কমিশনার (ভূমি) রাহসিন কবির জানান, কেপিআইভূক্ত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে এবং অব্যাহত থাকবে। বালু উত্তোলনকারী যত বড় শক্তিশালীই হোক না কেন আমরা তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাতেই নদী থেকে বেশী বালু কাটা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে দিনের বেলায় ঈশ্বরদী এলাকায় কোথায়ও ড্রেজার পাওয়া যায়নি। তবে কেপিআইভূক্ত হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে এবং গাইড ব্যাংক এলাকা জুড়ে বিশাল বিশাল বালুর স্তুপ রয়েছে। যারা বালুর স্তুপ করে রেখেছে তাদেরকে দ্রুত বালু সরিয়ে নেয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে যে এলাকায় যারা বালুর স্তুপ করে রেখেছে তারা বলেছে ওই এলাকা রেলের, তাই রেলের কাছ থেকে লিজ নিয়ে তারা বালুর স্তুপ করে ব্যবসা করছে। আমাদের কাগজপত্রে দেখা যায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নীচের এলাকা খাস খতিয়ানভুক্ত। যেকারণে ওই জায়গা নিয়ে ইতোমধ্যেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। রেলের স্টেট অফিসার বর্তমানে হজ্বব্রত পালন করতে সৌদিতে অবস্থান করছেন। তিনি আসলে ওই জায়গা আমরা মাপামাপি করবো। মাপজোকের পর যদি জায়গা রেলের হয়, বালু অপসারণে রেল ব্যবস্থা নিবে। আর জায়গা যদি আমাদের হয় আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে কেপিআইভূক্ত এলাকা সংরক্ষণ করব। আমরা কোনভাবেই ওই এলাকায় বালু উত্তোলন বা বালু সংরক্ষণ কোনভাবেই এ্যালাউ করব না।

গত ২১ মে ১৩৫২/১৭ স্মারকে প্রেরীত প্রতিবেদনে কেপিআই সমূহের ক্রুটি-বিচ্যুতি ও সর্বশেষ জরিপের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলা হয়। কেপিআই এর সার্ভে টিমের সভাপতি ও রাজশাহী রেঞ্জের অপারেশনাল অতিরিক্ত ডিআইজি নরেশ চাকমা পাবনা জেলার গুরুত্বপূর্ণ (কেপিআই) হার্ডিঞ্জ ব্রিজসহ অন্যান্য স্থাপনার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ এই প্রতিবেদনে বলেছেন, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সুনাম কেপিআই এর সুষ্ঠু নিরাপত্তার সাথে জড়িত। এ প্রতিবেদনের কপি পাকশী বিভাগীয় রেল কর্তৃপক্ষকেও প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ প্রসংগে বলা হয়, অপ্রতুল নিরাপত্তা প্রহরী, দর্শনার্থী রেজিষ্টার নেই, নিরাপত্তা কমিটি গঠিত হয়নি, সিসি ক্যামেরা না থাকার পাশাপাশি ব্রীজের উভয় পাশে কাঁটাতারের বেড়া এবং সশস্ত্র টহলের ব্যবস্থা নেই। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিরাপত্তার স্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে উল্লেখিত অভিমত ও সুপারিশ বাস্তবায়নের পাশাপাশি আরও বলা হয়, ব্রিজের উভয় পাশে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন, ড্রেজিং, মাছ ধরা, নৌকা ভ্রমণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মূল ব্রিজের উভয়পাশে ২ কিলোমিটার দূরুত্বের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বলা হয়। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের প্রবেশ মূখে এবং উভয়পাশে ঝোপ-জঙ্গল, দোকানপাট জরুরী ভিত্তিতে অপসারণের কথা বলা হয়েছে।

অথচ হার্ডিঞ্জ ব্রিজের সন্নিকটে দীর্ঘদিন ধরে চলছে অবৈধ বালুর ব্যবসা। পাহাড় সমান বালুর স্তুপ সাজিয়ে ভ্যাট-ট্যাক্স ছাড়াই শুধু ম্যানেজ করেই বছরের বছর জমিয়ে চলছে রমরমা বালুর ব্যবসা। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নদী তীরবর্তী গাইড ব্যাংক এলাকা কৃষিকাজের জন্য রেলওয়ের ভূসম্পত্তি অফিস থেকে লীজ দেওয়া হয়েছে। এখানে কৃষিকাজ হয় না। লীজ গ্রহীতাদের নিকট থেকে ভাড়া নিয়ে বালুর ব্যবসা চলছে। খরচ বলতে নৌকা ভাড়া, চাঁদা আর লেবার খরচ। বালুর স্তুপ বড় হতে হতে বিশাল স্তুপের আড়ালে ঢাকা পড়েছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু। রেলওয়ে প্রকৌশলীদের মতে, বালু স্তুপের কারণে বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদীর স্রোত বাধাগ্রস্থ ও গতিপথ পরিবর্তন হয়। এতে ব্রিজের পিলার ও গাইড ব্যাংকের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখিন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
error: Content is protected !!